রাজবাড়ীর পাংশায় বিএনপিকর্মী কৃষক রাশিদুল ইসলাম (৩৫) হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকালে পাংশার পাট্টা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে জোনা পাট্টা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা রাশিদুলসহ তার পরিবারকে বিএনপির একটি নির্যাতিত পরিবার দাবি করেন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। নির্মমভাবে নির্যাতনের পর পায়ের রগ কেটে দেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে পাংশা টু লাঙ্গলবাঁধ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে ।
স্থানীয়রা জানায়, বরিশাল থেকে ধান কেটে ২০-২৫ দিন পর শুক্রবার (২মে) মধ্য রাতে বাড়ীতে আসেন পাট্টা গ্রামের কিয়ামদ্দিন মণ্ডলের ছেলে রাশিদুল। পরদিন সকালে ওই ধান ভাগ করতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সকাল ৯টার দিকে পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামের পাংশা টু লাঙ্গলবাঁধ সড়কে উপজেলা বিএনপি নেতা শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম, আকিদুল ইসলাম, মারুফ হাসান সুমনসহ ১০-১৫ জন তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনিত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হাসান সুমনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষুদ্ধ জনগন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম মুরাদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, খুন হওয়া রাশিদুলের বাবা কিয়ামউদ্দিন, মা আলেয়া, স্ত্রী জরিনা বেগম, জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কার্য্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন, জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের তথ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হাসান, কালুখালী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আনিছ মোল্লা, ইউপি যুবদলের আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী, মৌরাট যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদ বিশ্বাসসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ৩ মে সকালে রাশিদুলের উপর হামলা হয় এবং দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয।
রা.র.খ