জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথ্থানে আহত ও নিহত শহিদদের স্মরণে রাজবাড়ীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণসভার শুরুতে জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুথ্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এ সময় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতরা এবং ঘটনার হুকুমদাতাসহ জরিত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শ্বাস্তির দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাররা। পাশাপাশি নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতদের স্থায়ী বন্দোবস্তের দাবি জানানো হয়।
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজবাড়ীর ৩টি শহিদ পরিবারকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া এবং আহতদের সুস্থ্যতা কামনা ও নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুথ্থানে তাজা রক্তের পাশাপাশি হৃদয়ের রক্ত ঝড়েছে। এই অর্জণের ঋণ শোধ হবার নয় এবং যারা স্বজন হারিয়েছে শুধু তারাই সে ব্যাথা অনুভব করছে। তাই যে উদ্দেশ্যে আপনারা এই যুদ্ধে নেমেছিলেন সেটি আমরা আপনাদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বর্তমানে যাদের হাত বা পা ভাঙ্গা এবং অন্যান্য সমস্যা আছে, আপনারা তাদের তালিকা দেবেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সমাধানের চেষ্টা করবো। অনেকের স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রয়োজন । ইতিমধ্যে সরকার আপনাদের সহযোগিতা শুরু করেছে। আশা করছি সেটিরও সমাধান হবে। আপনাদের একটি চুরান্ত তালিকা করা হবে। তারপর সরকার আরও কিছু পদক্ষেপ নেবে। ফলে আপনাদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।
এছাড়া স্মরণসভায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটোন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌসসহ রাজবাড়ীর ৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ছাত্র আন্দোলনের সম্মনয়ক, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথ্থানে নিহত রাজবাড়ীর শহিদ সাগর, আব্দুল গনি ও কোরবানের পরিবার এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ৫৮ জন আহত ও তাদের পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ গোলচত্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর হোসেন। সে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়ার টাকাপোড়া গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে । একই দিন গুলশান শাহজাদপুর বাঁশতলায় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হন গণি শেখ। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলান খানখনাপুরে আব্দুল মজিদের ছেলে এবং হোটেলে চাকুরী করতেন। ২০ জুলাই সাভারে দূর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মুরগি ব্যবসায়ী কোরমান শেখ । সে কালুখালীর রতনদিয়া গ্রামের মৃত মেহের শেখের ছেলে।
রা.র.খ