নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
মঙ্গলবার (৩১ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্ণীতি দমন কমিশন ফরিদপুর সমন্মিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার দাস এর নের্তৃত্বে দুদকের একটি টিম হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় নিম্নমানের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি চার্ড অনুযায়ী কম খাবার সরবরাহ করা, রোগীদের সকল ধরনের ঔষধ সরবরাহ না করা এবং হাসপাতালের ওয়ার্ডসহ বিভিন্নস্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সত্যতা পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কমিশনকে অবগত করবেন বলে জানান ফরিদপুর সমন্মিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার দাস।
তিনি জানান, আজকের খাবারের চার্ড অনুযায়ী প্রতিজন রোগী যে পরিমান খাবার পাবার কথা, সে পরিমান খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। মোট আজ ১৬ কেজি মাংস দেবার কথা থাকলেও রান্না ঘরে পাওয়া গেছে ১০ কেজি। তাছাড়া পরিবেশ খুব নোংরা এবং রোগীদের সকল ধরনের ঔষধও দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের সেবিকারা স্লিপ নিয়ে ঔষধ নিচ্ছে।
এদিকে খাবার না পাওয়াসহ রোগ অনুযায়ী সব ধরনের ঔষধ না পাওয়া, ওয়ার্ডে নোংরা পরিবেশ এবং রোগী ও তার স্বজনদের সাথে সেবিকাদের অশোভন আচরনের অভিযোগ করেছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
তারা জানান, খাবার টিক মত পান না। একদিন দিলে পরদিন আর খাবার দেয় না। সিস্টারদের কাছে কিছু জানতে বা জিঞ্জাসা করলে খারাপ আচরণ করে। সময় মত তাদের ডেকে পাওয়া যায় না। তাছাড়া গ্যাষ্ট্রিক আর জ্বরের ঔষধ ছাড়া সব ঔষধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান দুদকের অভিযানে খাবারের বিষয়টির সত্যতা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বাস্তবে আজ খাবার কম ছিলো। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়তি লোক নিয়ে হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেন। অধিক রোগীদের চাপের কারণে নোংরা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সব ঔষধ আউটডোরে দেওয়া থাকে না, কিছু ঔষধ ইনডোরে থাকে। যে কারণে আউটডোরে সব ঔষধ পাওয়া যায় না। তিনি রাজবাড়ীর সন্তান হিসাবে সব সময় হাসপাতালের ভাল চান।
রা.র.খ